মাতৃত্ব ও জটিলতা

উচ্চ ঝুকি সম্পন্ন গর্ভবতী মা

মিসক্যারেজ

ঝড়ের পর যেমন রংধনু একটি নতুন স্বপ্ন ও আশা নিয়ে আসে তেমনি অনেক দম্পতির কাছে মিসক্যারেজ একটি দু:স্বপ্নের মত এবং অনেকেই এই দু:স্বপ্ন পেরিয়ে একটি নতুন স্বপ্নের সূচনা করতে পারেন। পুনরায় গর্ভধারণের পূর্বে যে সব বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে তা জানতে এখানে ক্লিক করুন

অনেক গর্ভবতী মা’ই আছেন যারা গর্ভধারনের ফলে অনেক ধরনের বিপদের সম্মুখীন হয়ে থাকেন, তাই একে ঝুকিপুর্ণ গর্ভবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ঝুকিপুর্ণ গর্ভবস্থায় একই সাথে গর্ভস্থ সন্তান ও মা দুজনই ঝুকির সম্মুখীন হয়। যার ফলে অনেক সময় সুস্থ্য সন্তান জন্ম দেয়া সম্ভব হয়ে উঠেনা। আমাদের দেশে শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ গর্ভবতীই ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় থাকে ।

এজন্য সন্তান ধারনের আগেই জেনে নেয়া উচিত কোন কোন মা উচ্চ ঝুকি সম্পন্ন এবং প্রয়োজনীয় সাবধানতা গ্রহন করা উচিত।  ঝুকিপুর্ণ গর্ভধারনের সম্ভাবনা যাদের বেশী:

  • প্রথম সন্তান ধারনের সময় যে সকল মায়ের বয়স ৩০ এর অধিক থাকে।
  • যেসকল গর্ভবতী মায়ের উচ্চতা ১৪০ সেন্টিমিটার এর কম থাকে।
  • গর্ভাবস্থায় যে সকল মায়ের রক্তস্রাব হয়।
  • যে সকল গর্ভবতী মায়ের পূর্বে গর্ভপাত হবার ইতিহাস রয়েছে।
  • গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ কিংবা অন্য কারনে এক্লাম্পসিয়া বা প্রিএক্লাম্পসিয়া রোগাক্রান্ত হওয়া।
  • গর্ভবতী মায়ের রক্তের হিমোগ্লাবিন এর পরিমান শতকরা ৫০ ভাগ এর কম থাকা।
  • গর্ভের শিশুর মাথা নিচের দিকে না হয়ে আড়াআড়ি(Transverse lie) বা পা নিচের দিকে থাকা (Breech)।
  • গর্ভপাত কিংবা মৃত বাচ্চা প্রসব করার কোনো অতীত ইতিহাস থাকা।
  • বিলম্বিত প্রসব।
  • সিজারিয়ান সেকশন বা ইন্সট্রুমেন্টাল ডেলিভারি করার কোন ইতিহাস থাকা।
  • গর্ভবতী মায়ের জটিল হৃদরোগ,লিভার বা যকৃতের রোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, যক্ষা বা টিবি, উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন ইত্যাদি থাকা।
  • খুব বেশী বয়সে একাধিক সন্তান জন্ম দেওয়া।
  • গর্ভাবস্থায় হাইড্রমনিয়স রোগ হওয়া।
  • গর্ভে একাধিক বাচ্চা বা জমজ বাচ্চা থাকা ইত্যাদি ঝুকিপুর্ণ গর্ভধারনের উদাহরন।

গর্ভকালীন বিপদ চিহ্ন

গর্ভকালীন বিপদ চিহ্ন

রক্তপাত বা গর্ভফুল না পড়া

খিঁচুনি অথবা অজ্ঞান হওয়া

চোখে ঝাপসা দেখা বা তীব্র মাথাব্যথা

ভীষণ জ্বর

বিলম্বিত প্রসব

বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়া