সাধারণত গর্ভধারণের গণনা শুরু হয় শেষ মাসিক এর প্রথম দিন থেকেই। এই সময় সপ্তাহ দুই/এক এর মধ্যেই সাধারণত গর্ভসঞ্চার হয়ে থাকে। যেহেতু গর্ভসঞ্চার এর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় নির্ণয় করা সম্ভব নয় তাই সাধারনত শেষ মাসিক এর প্রথম দিন হতে পরবর্তী ৪০ সপ্তাহকে গর্ভধারণ এর সময়কাল হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এই হিসেবেই সন্তান জন্মদানের দিন (Due Date) হিসাব করা হয়।
প্রথম সপ্তাহে আপনি গর্ভবতী নন, কারন গর্ভসঞ্চারের মুল ব্যাপারটি আপনার মাসিক শেষের আনুমানিক দুই সপ্তাহ পর ঘটে থাকে। প্রতিটি মাসিক এর পরেই আপনার শরীর জটিল হরমনাল পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং তা হয় শরীরকে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করতে। তাই মাসিক এর প্রথম দিনকেই গর্ভধারণের প্রথম দিন হিসেবে গননা করা হয়।
বেশীরভাগ মহিলাদের ক্ষেত্রেই মাসিক শুরুর ১২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই ডিম্বাণু উৎপন্ন হয়। তাই আপনার যদি গর্ভধারণের পূর্ব -পরিকল্পনা থাকে তবে এই সময়ের কিছু আগে থেকেই আপনার সঙ্গীর সাথে শারীরিক মিলন শুরু করুন।
এই সপ্তাহে আপনার করনীয় কি?
- আপনার যদি গর্ভধারণের পূর্ব-পরিকল্পনা থাকে তবে এখন থেকেই সুস্থ লাইফস্টাইল বজায় রাখার চেষ্টা করুন। ধূমপান এবং মাদক থেকে নিজেকে দূরে থাকুন।
- আপনি যদি কোন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে জেনে নিন তা আপনার গর্ভধারণের জন্য নিরাপদ কিনা।
- বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বলে Pre-Natal মাল্টিভিটামিন খাওয়া শুরু করুন। প্রতিদিন অন্তত ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার অনাগত সন্তান অনেকধরনের জন্মগত ত্রুটি থেকে রক্ষা পাবে। ফলিক এসিড গর্ভধারণের অন্তত ৩ মাস আগে থেকে শুরু করা উত্তম।
- শরীরকে অ্যাক্টিভ থাকার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন হালকা শরীরচর্চা এবং সময়মতো ঘুমের অভ্যাস করুন।